রিপোর্ট: রাসেল আহমেদ
হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, গাজার পরিস্থিতি দিন দিন আরও সংকটময় হয়ে উঠছে। যতই দিন যাচ্ছে সেখানে খাবার ও পান যোগ্য পানির সংকটে দিশেহারা হয়ে উঠছে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। এমনকি শিশুদের মুখে তুলে দেওয়ার মতো খাবারের পাশাপাশি পানিরও জোগানও দেওয়া যাচ্ছে না।
গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ২৫০ দিন ধরে চলা যুদ্ধে ইহুদিবাদী অবৈধ বাহিনীর হাতে ১৫ হাজার ৬৯৪ জন শিশু নিহত হয়েছে এবং ১৭ হাজার শিশু তাদের বাবা-মা, পরিবার হারিয়ে এতিম হয়ে বিপর্যস্থ, দুঃসহ ও অমানবিক জীবনযাপন করছে।
এদিকে গাজায় খাদ্য সংকটের বিপর্যয় সম্পর্কে সতর্ক করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস। যুদ্ধবিধ্বস্ত ওই অঞ্চলে পাঁচ বছরের কম বয়সী আট হাজারেরও বেশি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে বলে জানিয়েন তিনি।
গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে কর্মরত এক সরকারি কর্মকর্তা আল জাজিরাকে বলেন, সেখানে অধিকাংশ খাদ্যপণ্য ফুরিয়ে যাওয়ায় ভয়াবহ সংকট তৈরি হয়েছে।
জাতিসংঘ সমর্থিত একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজা-যুদ্ধের প্রথম দিকেই ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করেছে। এতে বলা হয়েছে, শুধু যুদ্ধাপরাধ নয়, মানবতাবিরোধী অপরাধও করেছে ইসরায়েল। কারণ তাদের নির্বিচার হামলায় অসংখ্য বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে।
তদন্ত কমিশন আরও জানায়, ইসরায়েল তাদের তদন্ত ও মানবিক কাজে বাধা দিয়েছে। ইসরায়েল ও গাজায় প্রবেশের ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে তেল আবিব প্রশাসন।
আপনার কমেন্ট